• Breaking News

    Md Shaikul Islam

    Recent

    বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ, ২০১৭

    কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশের পরিচিতি




    ভুমিকা- একবিংশ শতাব্দীর অত্যাধুনিক বিজ্ঞানের যুগে এ কথা অনস্বীকার্য যে, আমাদের অতি প্রয়োজনীয় এই কম্পিউটার নামের যন্ত্রটি আধুনিক বিশ্বের বিজ্ঞানের এক বিষ্ময়কর আবিষ্কার। সাধারন মানুষের কাছে এটা একটা সাদামাটা ক্যালকুলেটর, যা স্বয়ক্রিয়ভাবে কাজ করতে পারে। কিন্তু একজন দ প্রযুক্তিবিদের নিকট কম্পিউটার হচ্ছে একটি অত্যাধুনিক ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস; যা তথ্য গ্রহন করে নির্দেশনার মাধ্যমে সেই তথ্যকে প্রসেস করে সমস্যা সমাধান করে এবং তা সংরণ করে রাখে।
    কম্পিউটার কি ? অথবা, কম্পিউটারের সংজ্ঞা দাও।
    কম্পিউটার একটি বহুমূখী কাজের মতা সম্পন্ন ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্র যার মাধ্যমে তথ্য উপাত্ত গ্রহন, বিন্যাস ও বিশ্লেষণ করার পর ঐ তথ্য উপাত্তকে ডিস্কে বা স্মৃতিতে সংরণ করা হয়। এবং প্রয়োজনে সমস্ত তথ্যাদি ব্যবহার করে কাঙ্খিত ফলাফল পাওয়া যায়।
    সহজ কথায় কম্পিউটার একটি ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্র। কম্পিউট (C0mpute) শব্দের অর্থ গণনা করা। অতএব শাব্দিক অর্থ বিবেচনায় যে যন্ত্র গণনার কাজ করে তাকেই বা সেই যন্ত্রকেই,কম্পিউটার,বলে।
    উৎপত্তিগত অর্থে ল্যাটিন শব্দ Computer অর্থই গণনা করা। সে অর্থে Computer মানেই গণনাকারী যন্ত্র। যদিও কম্পিউটারের আবিষ্কার হয়েছে গণনাকারী যন্ত্র হিসেবে কিন্তু আধুনিক কম্পিউটার শুধু গণনা কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। কম্পিউটার এখন গবেষনা থেকে শুরু করে গৃহস্থলী কাজেও ব্যবহার করা হচ্ছে।
    কম্পিউটারে তথ্য নির্দেশ দেওয়া
    কম্পিউটার কিন্তু নিজে কিছুই করতে পারে না। কম্পিউটারকে সঠিক ভাবে নির্দেশ দিলে সে সেই কাজটি করে দেয়। আর নির্দেশ দেওয়ার জন্য আমরা কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত কী-বোর্ড এবং মাউসকে ব্যবহার করে থাকি।
    একটি কম্পিউটার বাইরের দিক থেকে আমরা চারটি জিনিষকে দেখতে পাই। যেমন-
    (১) কী-বোর্ড (Key-Board) এটি একটি ইনপুট ডিভাইস। এর সাহায্যে আমরা টাইপ করে কম্পিউটারকে তথ্য নির্দেশ দিতে পারি
    (২) মাউস (Mouse) এটি একটি ইনপুট ডিভাইস। এর সাহায্যে আমরা কম্পিউটারকে তথ্য নির্দেশ দিতে পারি।
    (৩) সিপিইউ (CPU) এই অংশে কম্পিউটারকে দেয়া তথ্য নির্দেশ প্রক্রিয়াজাত করণ করে। এর ইংরেজী অর্থ হলো- C = Central , P = Processing, U = Unit একসঙ্গে Central Processing Unit বাংলায় কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াজাত করণ এলাকা।
    (৪) মনিটর (Monitor) এটি একটি আউটপুট ডিভাইস। এই অংশে ফলাফল প্রদর্শণ করে।
    কম্পিটারের কার্যপ্রণালীকে মোটামুটি দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
    (১) ইনপুট ইউনিট ঃ নির্দেশ গ্রহন এলাকা। এই এলাকার মধ্যে পড়ে কী-বোর্ড ও মাউস।
    (২) আউটপুট ইউনিট ঃ ফলাফল প্রদর্শন এলাকা এই এলাকার মধ্যেপড়ে সিপিইউ এবং মনিটর।
    ইনপুট ডিভাইস ঃ
    কম্পিউটারের সাথে মানুষের যোগাযোগ রা করাই হচ্ছে ইনপুট ডিভাইসের কাজ। যে কোন ধরনের ডাটাকে বাইনারী ইক্ট্রোনিক্স সিগন্যাল ( জিরো এবং ওয়ান) এ পরিণত করে সিপিইউ-এ পাঠানো হয়। কারণ সিপিইউ এই (০, ১) ছাড়া অন্য কোন কিছু বুঝতে পারে না।
    আউটপুট ডিভাইস ঃ
    ইনপুট ডিভাইস হতে আসা ইলেক্ট্রনিক্স সিগন্যালগুলোকে মানুষের অনুভবগম্য চিত্র ভিত্তিক, বর্ণমালা ভিত্তিক, অংক ভিত্তিক, শব্দ ও ছবি ভিত্তিক ইত্যাদি আকৃতিতে পরিণত করে থাকে।
    কম্পিউটারে নির্দেশের গুরুত্ব ঃ
    কম্পিউটারে নির্দেশের গুরুত্ব অপরিসীম। সঠিক নির্দেশনাই কেবল পারে সঠিক ফলাফল প্রদর্শন করতে। ভূল নির্দেশ দিলে ভূল ফলাফল প্রদর্শন করবে সেটাই স্বাভাবিক। ভূল নির্দেশনা মারাত্মক বিড়ম্বনার সৃষ্টি হতে পারে।
    কম্পিউটার কি কি কাজ করে ?
    কম্পিউটার মূলত চারটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে। যেমন,
    (১) ইহা ইনপুট ডিভাইস দ্বারা সংখ্যা বা শব্দ এবং নির্দেশ গ্রহন করে।
    (২) নির্দেশনার মাধ্যমে ডাটা বা তথ্য উপাত্ত প্রসেস করে।
    (৩) ফলাফল আউটপুট ডিভাইসে প্রেরণ করে।
    (৪) প্রয়োজন অনুযায়ী ডাটা বা তথ্য উপাত্ত সংরন এবং মেমোরী বা স্মৃতি ভান্ডার থেকে উত্তোলন করে থাকে।
    কম্পিউটারের প্রকারভেদ ঃ
    কম্পিউটারকে প্রধানতঃ ৩টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেমনঃ
    (১) ডিজিটাল কম্পিউটার, (২) এনালগ কম্পিউটার, (৩) হাইব্রিড কম্পিউটার।
    ডিজিটাল কম্পিউটারকে অবার ৪টি ভাগে ভাগ কার হয়েছে। যেমনঃ
    (১) সুপার কম্পিউটার,(২) মেইন ফ্রেম কম্পিউটার, (৩) মিনি কম্পিউটার, (৪) মাইক্রো কম্পিউটার।
    কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ঃ
    (১) সিপিইউ (২) মনিটর (৩) কী-বোর্ড (৪) মাউস (৫) মাউসপ্যাড (৬) প্রিন্টার (৭) ডিস্ক (৮) স্পীকার (৯) মডেম (১০) স্ক্যানার ইত্যাদি।
    কী-বোর্ড পরিচিতি ঃ
    কী-বোর্ডে ৮৪ থেকে ১০১টি বা কোন কোন কী-বোর্ডে ১০২টি কী আছে। ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে কী-বোর্ডকে মোটামুটি ৫টি ভাগে ভাগ করা যায়।
    (১) ফাংশন কী।
    (২) অ্যারো কী।
    (৩) আলফা বেটিক কী।
    (৪) নিউমেরিক কী বা লজিক্যাল কী।
    (৫) বিশেষ কী।
    @ ফাংশন কী ঃ
    কী বোর্ডের উপরের দিকে বাম পার্শ্বে F1 থেকে F12 পর্যন্ত যে কী গুলো আছে এদরকে ফাংশন কী বলে। কোন নির্দিষ্ট কাজ করা যায় বলে একে ফাংশন কী বলে। যেমন কোন প্রোগ্রামের জন্য help, অথবা কোন প্রোগ্রাম রান করানো ইত্যাদি কাজে এই কী এর ব্যবহার করা হয়।
    অ্যারো কী ঃ
    কী বোর্ডের ডান দিকে নিচে পৃথক ভাবে চারটি কী আছে। কোন কোন কী বোর্ডে উপরের দিকেও থাকে। কীগুলোর উপরে অ্যারো বা তীর চিহ্ন দেওয়া থাকে। যা দিয়ে খুব সহজেই কার্সরকে ডানে, বামে, উপরে এবং নীচে সরানো যায়। এগুলিকে আবার এডিট কীও বলে। কারণ টেক্স এডিট করার কাজেও এ কীগুলো ব্যবহার করা হয়।
    আলফা বেটিক কী ঃ
    কী বোর্ডের যে অংশে ইংরেজী বর্ণমালা A খেকে Z পর্যন্ত অরগুলো সাজানো থাকে সেই অংশকে আলফাবেটিক সেকশন/অংশ বলে।
    নিউমেরিক কী বা লজিক্যাল কী ঃ
    কীবোর্ডের ডানদিকে ০ থেকে ৯ পর্যন্ত সংখ্যা লেখা যে কীগুলো রয়েছে তাকে নিউমেরিক কী বলে। এখানে +, -, *, / প্রভৃতি অ্যারিথমেটিক অপারেটর থাকে। এছাড়াও <, >, = লজিক্যাল অপারেটরগুলো কী বোর্ডে থাকে।
    বিশেষ কী ঃ
    উল্লেখিত কী গুলো ছাড়া কী-বোর্ডের অন্যান্য কী সমূহ কোন না কোন বিশেষ কার্য সম্পাদন করে বলে এদেরকে বিশেষ কী বলা হয়। নিম্নে বিশেষ কী সমূহ সম্পর্কে সংপ্তি বর্ণনা দেওয়া হলো।
    Esc : এই কী এর সাহায্যে কোন নির্দেশ বাতিল করতে হয়।
    Tab : পর্দায় প্যারাগ্রাফ, কলাম, নম্বর, অনুচ্ছেদ শুরুর স্থান ইত্যাদি প্রয়োজন অনুযায়ী প্রস্তুতের জন্য এই কী ব্যবহার করা হয়।
    Caps Lock : এই কী ব্যবহার করে ইংরেজী ছোট হাতের ও বড় হাতের লেখা টাইপ করা হয়।
    Shift : একই ওয়ার্ডের মধ্যে বা শুরুতে বড় ও ছোট অর টাইপ করতে এই কী ব্যবহার করা হয়। যেমন : Dhaka, Khulna শব্দ দু’টি লিখতে প্রথম অরে শিফ্ট কী চেপে ধরে এবং পরের অর গুলো শিফ্ট কী ছেড়ে দিয়ে লিখতে হবে। আর বাংলা অর বা বর্ণমালা লেখার েেত্র অর বিন্যাস্ত কী এর উপরের ও নীচের লেখা টাইপের জন্য এই কী ব্যবহার করা হয়। এছাড়া শিফ্ট কী এর সাথে ফাংশন কী চেপে কম্পিউটারকে বিভিন্ন কমান্ড দেওয়া হয়।
    Ctrl : এই কী এর সাথে বিশেষ কী একসাথে চেপে কমান্ড দেওয়া হয়। ব্যবহারকারীর সুবিধার জন্য কীবোর্ডের ডানে ও বামে এই কী ২টি থাকে।
    Alt : বিভিন্ন প্রোগ্রামে বিভিন্ন নির্দেশ দেওয়ার জন্য এই কী ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ব্যবহৃত হয় এবং বিভিন্ন কমান্ড তৈরী করা যায়। Enter : কম্পিউটারকে কোন নির্দেশ দিয়ে তা কার্যকর করতে এই কী ব্যবহার হয়। লেখা লেখির জন্য নতুন প্যারা তৈরী করতেও এই কী ব্যবহার করা হয়। Pause Break : কম্পিউটারে কোন লেখা যদি দ্রুত গতির জন্য পড়তে অসুবিধা হয় তা হলে এই কী চেপে তা পড়া যায়।
    Print Screen: কম্পিউটারের পর্দার দৃশ্যত যা কছিু থাকে তা সব প্রিন্ট করত চাইলে এই কী ব্যবহার করতে হয়। Delete : কোন বাক্য, অর বা কোন লেখাকে মুছে ফেলতে এই কী ব্যবহার করা হয়। Home : এই কী ব্যবহার করে কার্সারকে পাতার প্রথমে আনা হয়। End : এই কী চাপলে কার্সার বা পয়েন্টার যেখানেই থাকুক না কেন টেক্স বা পাতার শেষে চলে আসবে।
    Page Up : এই কী ব্যবহার করে কার্সারকে উপরের দিকে উঠানো হয়।
    Page Down : এই কী ব্যবহার করে কার্সারকে নীচের দিকে নামানো হয়।
    Insert : কোন লেখার মাঝে কোন কিছু লিখলে তা সাধারণত লেখার ডান দিকে লেখা হয়, কিন্তু এই কী চেপে লিখলে তা পূর্ববর্তী বর্ণের উপরে ওভার রাইটিং হয়। কাজ শেষে আবার এই কী চাপলে তা পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে। Back Space : কোন লেখার পিছনের অংশ মুছে ফেলতে এই কী ব্যবহার করা হয়। Space Bar : কী বোর্ডের কীগুলোর মধ্যে এই কী টি সবচেয়ে লম্বা কোন বাক্য লেখার সময় শব্দ গুলোর মাঝে ফাঁকা করার জন্য এই কী ব্যবহার করা হয়। Num Look : এই কী চাপা থাকলে ডান দিকের কী গুলো চালু হয়। এছাড়া মাল্টিমিডিয়া কীবোর্ডে আরও ৪ টি কী থাকে যেমন ঃ
    Stand by Mood : এই কী চেপে রাখলে কম্পিউটার চালু থাকবে কিন্তু মনিটর বন্ধ হয়ে যাবে। Mail key : এই কী চেপে আউটলুক এক্সপ্রেস চালু হয় এবং তা দিয়ে মেইল পাঠানো যায়। তবে ইন্টারনেট চালু থাকতে হবে। Web key : এই কী ব্যবহার করে সরাসরি ওয়েব ব্রাউজার ওপেন করা যায়। এবং ইন্টারনেট ব্রাউজ করা যায়। Start Menu key: এই কী চেপে ষ্ট্যাট মেনু ওপেন করা যায় এবং প্রয়োজনীয় কমান্ড করা যায়।

    ২টি মন্তব্য :

    Fashion

    Beauty

    Travel